নিজস্ব প্রতিবেদক
বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তদারকি করতে অভিযান শুরু করেছে অধিদপ্তর।
জানা গেছে, প্রথম দিন নির্দেশনা না মানায় রাজধানীতে মোট ৬টি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে দুটি টিম রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান মিরপুর কালশী, সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ক্লিনিক শাখার সহকারী পরিচালক ডা. আহসানুল হক, ডা. মাসুদ রেজা খান, মেডিকেল অফিসার ডা. কাজী মো. সালেহীন তৌহিদ রামপুরা এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৬টি টিম পৃথকভাবে আগামীকাল (বুধবার) থেকে পূর্ণাঙ্গ অভিযানে নামবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান দেখেছি, এর মধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। বাকিগুলোকে শোকজ করা হবে। বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দুটির লাইসেন্স আপডেট ছিল না, বাকিগুলোর লাইসেন্সই ছিল না। মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারে দুটি ব্লাড ব্যাংক (রেডিয়াম ব্লাড ব্যাংক রাজধানী ব্লাড ব্যাংক) ও একটি হাসপাতাল (টিজি হাসপাতাল) বন্ধ করেছি। আর ইসিবি চত্বরে আল হাকিমি চক্ষু হসপিটাল বন্ধ করেছি। এছাড়াও কালশীতে এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এইচএস ডায়ালাইসিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি, এগুলোর লাইসেন্স ছিল না।