জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুরের দিবা শাখার এক জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের
বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠার পর প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। সেই শিক্ষককে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, "আপনার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে এবং এ বিষয়ে বিধি অনুযায়ী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করার লক্ষ্যে আপনাকে ২৪/০২/২৪ তারিখ থেকে অধ্যক্ষ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হল।"
এরআগে, গণিতের শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কোচিংয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়।
পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকার কথা অফিস আদেশে বলা হয়েছে।
অফিস আদেশে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী তা বলা হয়নি। এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরীকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই শিক্ষক মুরাদের বক্তব্য জানতে পারেনি বর্তমান বাংলাদেশ।
এদিকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চেয়ে রোববার বেলা ১১টায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের সামনে মানববন্ধন ডেকেছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
অফিস আদেশের বিষয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, অফিস বোর্ডে এ নিয়ে নোটিস টানানো দেখেছি। তবে এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এই শিক্ষককে অবশ্যই স্কুল থেকে বের করে দিতে হবে। এর বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, আজ এর বিচার না হলে অন্য কোন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ও হতে পারে।
ভুক্তভোগীদের বরাতে জানা গেছে, আজিমপুর এলাকার একটি ভবনের তিন তলার ফ্ল্যাটে কোচিং সেন্টার খুলে পড়ান মুরাদ হোসেন সরকার।
অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে এই কোচিংয়েই একাধিক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন তিনি।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মমতাজ বেগমকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পায় কলেজ কর্তৃপক্ষ বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে।