শাহাদাত হোসেন মানিকঃ ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আজমপুর এলাকায় রাস্তার উপর দীর্ঘদিন যাবৎ বিআরটি প্রকল্পের মাটির স্তুুপ পরে থাকতে দেখা যায়। এতে করে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীন কর্মকান্ডে স্থানীয় পথচারীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে কয়েক বছর আগে উত্তরা পূর্ব থানার আজমপুর বিএনএস সেন্টার এলাকায় রাস্তার মাঝখানে তৈরি করা ডিএনসিসির ওয়্যারহাউজটি অবশেষে সরিয়ে নিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ওয়্যারহাউজ সরলেও সরেনি সড়কের মাটির স্তুপ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ সড়কে বিআরটি প্রকল্পের চলমান উন্নয়ন কাজ ছাড়াও ভুমিকম্প, অগ্নিকান্ড, জলোচ্ছ্বাসসহ দূর্যোগকালীন সময়ে ব্যবহারের জন্য রোডস্ এন্ড হাইওয়ের অনুমিত নিয়ে এই ওয়্যারহাউজ নির্মাণ করেছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-১। কিন্তু উত্তরা বিএনএস সেন্টার এলাকায় উড়াল সড়কে উঠা নামার সংযোগস্থল রোডস এন্ড হাইওয়ে মহাসড়কের মাঝখানের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা থেকে ওয়্যারহাউজটি সরিয়ে নেয়া হলেও অদৃশ্য কারণে এখনো রাস্তার উপর মাটির স্তুুপটি সরাননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গতকাল এই মাটির স্তুুপ এলাকাটি এখন ভ্রাম্যমাণ প্রশ্রাবখানায় পরিনত হয়েছে। যার ফলে গুরিত্বপূর্ণ এসড়কের সৌন্দর্য নষ্ট হচেছ। এখানকার প্রশ্রাবের দূর্গন্ধে তারা অতিষ্ঠ । সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ লোকজন বিএনএস সেন্টারের সামনের রাস্তায় নতুন করে গড়ে উঠা ফুটওভারব্রিজ ব্যবহার করেন। নিরাপত্তা ও সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে তারা দ্রুত সড়কের উপর ফেলে রাখা ময়লা মাটি সরিয়ে নেয়ার দাবি জানান। আজমপুর বিডিআর কাঁচাবাজারের সামনের বিমানবন্দর মহাসড়কে মাটির স্তুপের পাশে এখনো রয়েছে একটা ছোট বটগাছ ও কয়েকটি চায়ের দোকান। এই মাটিরস্তুপে প্রতিনিয়ত নানান শ্রেণি পেশার ভ্রাম্যমাণ লোকজন দিনে রাতে প্রশ্রাব করার কারণে বাড়ছে দুর্গন্ধ, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। এখানকার পথচারীদের মাঝে অসন্তোষ ও বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। পথচারী জীবন, শেখ জুয়েল, রাসেল খান, হুমায়ূন, মিরাজ, ইব্রাহিম, স্কুল শিক্ষক মনির, ব্যবসায়ী মাসুদ পারভেজ,কলেজ পড়ুয়াছাত্র ছাত্রীসহ অন্যান্যরা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এসড়কের মাঝখানে পরে থাকা মাটির স্তুুপের কারণে উত্তরা মডেল টাউন বিমানবন্দর মহাসড়কের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।উত্তরা থেকে বিমানবন্দর মহাসড়কের যানজট নিরসনের পাশাপাশি এটিকে নান্দনিক করে তুলতে এ অঞ্চলে বড় বড় মেঘা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন বর্তমান সরকার।
এদিকে, উত্তরা পূর্ব থানার এলাকার একাধিক পথচারী জানান, রাজধানী উত্তরা বিমানবন্দর মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা নিরসনে ইতিমধ্যে সরকার বহুমুখি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্প গুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু। রাজধানীর ব্যস্ততম বিমানবন্দর মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উত্তরা অংশ চালু হওয়ার মধ্যদিয়ে উত্তরা মডেল টাউনে বসবাসকারী নাগরিকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে এমনটা জানিয়েছেন উত্তরাবাসী।
অপরদিকে, দীর্ঘদিন রাস্তা দখল করে রাখা ওয়্যার হাউজটি সরিয়ে নিলেও সড়কের উপর পরে থাকা মাটিরস্তুপ সরানো হয়নি কেন এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (অঞ্চল -১) এর নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) অতিরিক্ত দায়িত্ব মনোরঞ্জন শাহ বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করার কারণে তাদের নির্মিত ওয়্যার হাউজটি সড়কের উপর চলে আসে বিধায় এটি সরানো তাদের দায়িত্বে ছিলো, জনস্বার্থে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্ত অপরিকল্পিতভাবে সড়কের উপর ফেলে রাখা মাটি সরানো বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নাই। তিনি আরো বলেন, এটি বিআরটি প্রকল্পের মাটি তারা সরাবে। আমরা শুধু আমাদের দায়িত্বটুকু পালন করেছি।
#######
শাহাদাত হোসেন মানিকঃ
উত্তরা প্রতিনিধি
ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩
মোবাইল-০১৬১৩০৯৪৪৯৬