নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তরা ১নম্বর সেক্টর জসিমউদ্দিন পাকার মাথা এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন মজুমদার নামের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার মামুন নাটোর জেলার বড়ইগ্রাম থানার কুমরুল গ্রামের মোহাম্মদ উল্লাহর ছেলে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উত্তরা ১নম্বর সেক্টর জসিমউদ্দিন পাকার মাথা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আজিজুল হক মিঞার নেতৃত্বে অভিযানে অংশ গ্রহণ করেন, এস আই সুমন সিকদার, এসআই রুবেল শেখ, এসআই আকিব নূরসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন মজুমদার বলেন, গ্রেপ্তারকে ভয় পাই না। আটক গ্রেপ্তার যাই করেন সমাবেশ হবেই। গ্রেপ্তার করে জিয়ার সৈনিকদের দমানো দেয়া যাবে না। সামনে সুদিন হাতছানি দিচ্ছেন।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রাজধানীতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। সমাবেশকে সামনে রেখে ঢাকার প্রবেশমুখে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়াও গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ সময় অনেককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির মহাসমাবেশের আগে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরসহ ৬টি জেলায় অভিযান চালিয়ে ২২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ও ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে তাদের হাজির করা হয়। আদালত সবাইকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগর এলাকার ৫০টি থানা এলাকা থেকে ২০৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঢাকা জেলার ৬টি থানা এলাকা থেকে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ওয়ারীতে ২২, যাত্রাবাড়ীতে ১৭, কাফরুলে ১৫, পল্লবীতে ১৯, গেণ্ডারিয়ায় তিনজন, সূত্রাপুরে ৬, ক্যান্টনমেন্টে ১, খিলক্ষেতে ৩, নিউমার্কেটে ৪, কলাবাগানে ১, রামপুরায় ৩, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ১, হাতিরঝিলে ১, তেজগাঁও থানার ৩, আদাবরে ৫, মোহাম্মদপুরে ৩, রমনায় ৩, শাহবাগে ২, মতিঝিলে ৩, শাহজাহানপুরে ১, গুলশানে ১, বাড্ডায় ৬, বংশালে ৬, কোতোয়ালিতে ২, চকবাজারে ৬, কামরাঙ্গীরচরে ১০, লালবাগে ৪, কদমতলীতে ১৮, শ্যামপুরে ২, হাজারীবাগে ৬, বিমানবন্দর ১, উত্তরখানে ৫, ডেমরায় ৪, খিলগাঁও থানায় ৮, মুগদায় ২, দারুসসালামে ১০ ও শাহ আলী থানা এলাকায় গ্রেপ্তার ছয়জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ৯ জন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ৬ ও সাভার থানার সাতজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।