আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিস্ফোরনে মার্কিন সেনাসহ ৬০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।
নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে বলে তালেবানের একজন কর্মকর্তা বলছেন।
পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে বিস্ফোরণে ‘বেশ কয়েকজন’ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। আমেরিকান মিডিয়া খবর দিচ্ছে, চারজন মেরিন সেনা নিহত হয়েছে এবং আরও সৈন্য রয়েছে।
বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর সেখানে পুরো ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। গেইট থেকে জনতাকে সরাতে তালেবান আকাশে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে,' জানান দ্বিতীয় একজন প্রত্যক্ষদর্শী।
'আমি আহত বাচ্চাকে হাতে নিয়ে এক ব্যক্তিকে ছুটতে দেখেছি।'
ওই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে তার বিমানে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু বিশৃঙ্খলা ও বিভ্রান্তির মধ্যে তিনি সব কাগজপত্র ফেলে দেন।
‘আমি বিমানবন্দরে আর যাব না। আমেরিকা মুর্দাবাদ, দেশত্যাগ আর ভিসা নিপাত যাক্,' তিনি এএফপিকে বলেন।
একটি 'জটিল হামলা'র জেরে এসব প্রাণহানি ঘটেছে বলে বলছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র। এখন পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি।
আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের নাগরিক ও সেনাদের সরিয়ে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সময় অল্প থাকায় তারা নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ তৎপরতা বাড়িয়েছে। আফগানিস্তান ছাড়তে হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে হাজির হচ্ছে।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। গত ১১ দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আফগানিস্তান থেকে ৮৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইভ্যাকুয়েশন বা স্থানান্তর বলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী বলছে, প্রতি ৩৯ মিনিটে একটি বিমান উড্ডয়ন করছে।