৩১ শে জুলাই রবিবার উডসাইডের কুইন্স প্যালেস অনুষ্ঠিত হয়েছে ড্রামা সার্কল নিউইয়র্ক এর নাট্য উৎসব এবং সামার ফেস্টিভ্যাল।বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক এর সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট জনেরা।সুস্থ্য সংস্কৃতি নির্ভর কয়েকশত মননশীল দর্শক একটি গোছানো সুন্দর অনুষ্ঠান উপভোগ করেন পুরোটা সময় জুড়ে।
সন্ধ্যা ৬টায় আয়োজক সংগঠন ড্রামা সার্কল এর সভাপতি আবীর আলমগীর এর সন্চালনায় নাট্য উৎসব উদ্বোধন করেন নাট্য উৎসবের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভস এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর আব্দুস সেলিম, বক্তব্য রাখেন নাট্য উৎসবের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভসের সেক্রেটারী জেনারেল ডঃ বাবুল বিশ্বাস।এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা ড্রামা’র এজাজ আলম, শিল্পাঙ্গন এর নজরুল ইসলাম, নাগরিক অনসাম্বল এর শরীফ হোসাইন, নাট্য শিল্পী খাইরুল ইসলাম পাখি।
নাট্য উৎসবে অংশগ্রহন করেছে নিউইয়র্ক এর ৪টি নাট্যদল।ঢাকা ড্রামা মন্চায়ন করেছে নাটক রাক্ষুসী, মুল গল্প কাজী নজরুল ইসলাম, নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় ছিলেন শিরীন বকুল।নাগরিক অনসাম্বল মমতাজ উদ্দীনের লেখা নাটক যামিনীর শেষ সংলাপ নাটক থেকে পাঠ করেছে অংশ বিশেষ।শিল্পাঙ্গন মন্চায়ন করেছে নাটক কৃষ্ণগন, নাটকটি রচনা এবং নির্দেশনায় নজরুল ইসলাম।ড্রামা সার্কল মন্চায়ন করেছে নাটক স্বপ্ন, রচনা হুমায়ুন আহমেদ, নির্দেশনায় ছিলেন জহির মাহমুদ।
রাত ৮টায় শুরু হয় সামার ফেস্টিভ্যাল এর অনুষ্ঠান।ফেস্টিভ্যালের সদস্য সচিব জাহিদা আলমের সন্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেস্টিভ্যালের আহবায়ক মোহাম্মদ মোহসিন।সামার ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধন করেন ড্রামা সার্কল এর প্রধান উপদেষ্টা ফেস্টিভ্যালের ডঃ দেলোয়ার হোসেন।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট সিলেটর জন লু্।বক্তব্য রাখেন ফেস্টিভ্যালের টাইটেল স্পনসর “উৎসব গ্রুপ” এর প্রধান রায়হান জামান, টাউন এমডি (হেলথ কেয়ার) গ্রুপের প্রধান রাহাত মুক্তাদির, বারী হোমস এর প্রধান আসেফ বারী টুটুল ও মুনমুন হাসিনা।বক্তব্য রাখেন ড্রামা সার্কল এর প্রতিষ্ঠাকালীন সভানেত্রী নার্গিস আহমেদ, বর্তমান সভাপতি আবীর আলমগীর এবং ফেস্টিভ্যালের চীফ কো-অর্ডিনেটর জহির মাহমুদ।
ফেস্টিভ্যালের সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই সংগীত পরিবেশন করে নতুন প্রজন্মের শিল্পী শায়ান ও জায়ান।সংগীত পরিবেশন করেন আনোয়ারা আনা, ফারহানা তুলি, জাফরিন আবেদীন, কান্তা আলমগীর, হোসেন জব্বার শৈবাল, লেমন চৌধুরী, চন্দন চৌধুরী, ক্লোজআপ তারকা শশী ও নওরীন এবং এপার বাংলা ওপার বাংলা সংগীত তারকা বিউটি দাস।নৃত্য পরিবেশন করে নওরীন আহমেদ এবং অন্তু মজুমদার।সংগীত পরিচালনা ও কীবোর্ডে ছিলেন রাজীব রহমান, ড্রামসে তুষার, বেজ গিটারে নাইম এবং লিড গিটারে নাদিম।সাংস্কৃতিক পর্বটি সন্চালনা করেন জাহিদা আলম এবং আদিবা জহির।সাংস্কৃতিক পর্বটির সার্বিক নির্দেশনায় ছিলেন ফেস্টিভ্যালের সাংস্কৃতিক চেয়ারম্যান কান্তা আলমগীর, সহযোগিতায় ছিলেন রুমী মুস্তাফা এবং জাফরিন আবেদীন।
ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে মন্চ নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করেছে ড্রামা সার্কল।প্রকাশনা’টি সম্পাদনা করেছে ফেস্টিভ্যালের ম্যাগাজিন উপ-কমিটির চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান।ড্রামা সার্কল এর সব সদস্যরা একই রকম শাড়ী ও পান্জাবী পরে দৃষ্টি কেড়েছে সবার।শাড়ী ও পান্জাবী সরবরাহ করেছে বাংলাদেশের গোধুলীয়া।
ড্রামা সার্কল রসুইঘর নামে একটি স্টল ছিলো ফেস্টিভ্যাল প্রাঙ্গনে, যা পরিচালনা করে ড্রামা সার্কলের সদস্যরাই।সেখানে মুখরোচক ফুচকা, চটপটি, পিঠা, আম ভর্তা, ঝালমুড়ি পরিবেশন করেছে তারা।রিপা আহমেদ ও রুকসান আরা’র নির্দেশনায় লাবনী কামরুল, রিতা, নিশাত খাজা, ফারহানা তুলি, অমিতা ইসলাম, ফারজানা মমো তত্বাবধান করেছে রসুইঘরের পুরো কর্মকান্ড।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও মন্চ ব্যবস্থাপনার সার্বিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে কামরুল ইসলাম, শেখ সুদান অন্তু, লেমন চৌধুরী ও চন্দন চৌধুরী।ফটোগ্রাফীতে ছিলেন জুয়েল খাজা এবং ভিডিওগ্রাফীতে ছিলেন তানভির আজহার সুকি।অনুষ্ঠানের চমৎকার সাউন্ড ও লাইট করেছে বিডি সাউন্ড।
————————————————————-
ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহনকারী সকল নাট্যদল এবং নাট্যদল গুলোর সকল নাট্য কর্মীকে, সামার ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহনকারী সকল শিল্পী, মিউজিশিয়ান, টেকনিকাল ক্রু, সর্বোপরি ড্রামা সার্কল এর সকল কর্মীকে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ফেস্টিভ্যালটি সুন্দর ভাবে সমাপন করতে যে সমস্ত স্পনসর প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করেছেন, পাশে দাড়িয়েছেন আপনাদের সকলের প্রতি রইলো কৃতজ্ঞতা।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা সাপ্তাহিক বাঙালী, সাপ্তাহিক পরিচয় এবং সাপ্তাহিক আজকাল কে, ফেস্টিভ্যাল’কে সাকসেসফুল করতে পত্রিকায় সৌজন্য বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে সহযোগিতার জন্য।