নইন আবু নাঈম তালুকদার শরণখোলা থেকেঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩টি ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ২টি ড্রেজারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অপরটি নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করাসহ মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া উপজেলা পরিষদের সামনে সংরক্ষিত খালে মাছ শিকারের অভিযোগে ৫টি জাল কেটে দেয়া হয় এবং ৩টি জাল পুড়িয়ে দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ শনিবার বিকেলে (১৬ নভেম্বর) উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের মালিয়া রাজাপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মালিয়া খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনরত অবস্থায় একটি ড্রাম ড্রেজার জব্দ করা হয়। এ সময় ড্রাম ড্রেজারের মালিক শাহ জামাল হাওলাদার ও মিজান হাওলাদার পালিয়ে যায়। পরে জব্দকৃত ড্রেজার এলাকার গ্রাম পুলিশ ও মেম্বারের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের সামনে সংরক্ষিত খালে মাছ শিকারের অভিযোগে ৫টি জাল কেটে দেয়া হয় এবং ৩টি জাল পুড়িয়ে দেয়া হয়।
অপর দিকে গত ১০ নভেম্বর উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া এলাকার ছোটো খাল থেকে ২টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ১টি ড্রেজার থেকে ড্রাইভার ও ১জন সহকারীকে ধরা হয়। অপর ড্রেজারের সকল লোকজন পালিয়ে গেলে যাদের জমিতে বালু ভরাট করা হচ্ছিল তাদের একজনকে আটক করা হয়। পরে মাটি ও বালু মহল ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ড্রেজার মালিকদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, জব্দকৃত ড্রেজারটি পরে নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করাসহ মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের মাটি ও মাতৃভূমিকে রক্ষায় এলাকাবাসিকে সচেতন করতে এবং এ অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।